পাখি গুলো আকাশের অনেক উপরে ওড়ে। শকুন ওরা। ওদের তীব্র,প্রখর,শানিত চোখ ভূপৃষ্ঠের মাটিকেও ছুয়ে যায়। কুঁচকুঁচে চোখ গুলো প্রতি বাড়ির আনাচে-কানাচে; গো ভাগাড়ে ঘুরে বেড়ায় অথবা, নীচে নেমে এসে শিকারির মতো ওৎ পেতে বসে থাকে। কোথাও গরু, ছাগল, ভেড়া,কুকুর মরে পড়ে আছে কিনা খুঁজতে থাকে। দেখতে পেলে বাজ পাখির মতো শো শো করে নেমে আসে,তারপর ধারালো ঠোঁট দিয়ে খুবলে খুবলে খায়। ওদের কোনো বাচ– বিচার নেই,মাংস হলেই হবে।
আজকের দিনে পাখি গুলো কে আর আকাশে দেখা যায় না। মৃত প্রানী গুলো ভাগাড়েই পচে পচে শেষ। সবাই বলে শকুন আজ বিলুপ্ত, কিন্তু ওরা বিলুপ্ত হয়ে যায় নি। ওরা নেমে এসেছে আমাদের সমাজে,মানুষের মুখোশ পরে। আমাদের আসেপাশে, তাদের তীব্র, প্রখর চাহনি, লোপুপ দৃষ্টি ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেন এক মুহুর্তে গিলে ফেলবে। রাতের স্টেশনে, অন্ধকার গলিরাস্তায়,বাস,ট্যাক্সি, ট্রেন, ট্রাম সর্বত্র শকুনের দল লোলুপ দৃষ্টি নিয়ে ওৎ পেতে বসে আছে। সুযোগ পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে তার শিকারের উপর,এক মুহুর্তে টুকরো টুকরো করে ফেলবে শিকার কে। এরা কোনোদিন বিলুপ্ত হয় না। যুগে যুগে জন্ম হয় শকুনদের।
স্বদেশ কুমার গায়েন (২০১৫)
Comments
Post a comment